পিরোজপুরে বিএনপির কাউন্সিলে
ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের
নেপথ্য কাহিনী
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে নিজেদের ভোটের বাক্স ছিনতাই ও মারামারির ঘটনা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ ঘটনার পর অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের দলের একটি থানার ভোট করতে গিয়ে হাঙ্গামার জন্ম দেয়, তারা জাতীয় নির্বাচনে কি করবে?
এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তবে পিরোজপুরের এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে পারিবারিক আধিপত্য বিস্তার ও এক আওয়ামী দোসরের হাত। আর এই সুযোগ করে দিয়েছেন বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা (খুলনায় বাড়ি)। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন তারেক রহমানের ঘনিষ্ট পরিচয়ে গত ১১ মাসে তিনি ও তার স্ত্রী মিলে অনেক বিতর্কিত কান্ডে জড়িয়েছেন। জনাব তারেক রহমান দলকে বিতর্কিত কর্মকান্ডের বাইরে রাখতে প্রানান্তকর চেষ্টা ও কঠোর হুশিয়ারি দিচ্ছেন। কিন্তু এমন নেতাদের কারনে বারবার ডুবছে দলের ভাবমূর্তি।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব লাভলু গাজীর ভাতিজা শুভ্র গাজীকে ভোটে জেতাতে না পারার শঙ্কায় শেষ পর্যন্ত ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। এই লাভলু গাজী নাকি খুলনা অঞ্চলের ওই প্রভাবশালী নেতার লোক পরিচয়ে দাপট দেখান। তার আর্শিবাদেই সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থেকে সরাসরি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হয়ে প্রভাবশালী বনে গেছেন। এখন দলকে পারিবারিক সম্পত্তি বানাতে ভাতিজা শুভ্র গাজীকে তার স্থলাভিষিক্ত করে সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানাতেই ঘটিয়েছেন এমন কাণ্ড।
এলাকার মানুষ বলছে, শুভ্র গাজী কোনো দিন বিএনপির মিছিলে আসে নাই, মিটিং করে নাই। এরপরও লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে, হুমকি-ধামকি দিয়ে তার পক্ষে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভোটে পরাজয় আঁচ করতে পেরে ব্যলট বাক্স ছিনতাই ও ব্যলট পেপার ছিড়ে ফেলে তার অনুসারীরা।
এলাকার লোকজনের দাবি- এই চরম বিতর্কিত কান্ডের নেপথ্যে বড় ভুমিকা রেখেছেন আওয়ামী দোসর সাজু মুনতাসির। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের সঙ্গে ছিল সাজুর ওঠাবসা। এই সাজু মুনতাসির আর পরাজিত প্রার্থী শুভ্র গাজী সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই।
আওয়ামী লীগ আমলে সাজু শুভ্রদের দেখে রেখেছেন। এখন লাবলু-শুভ্ররা সাজুকে দেখে রাখবেন। সবাই জানে দেশের রাজনীতিতে এটা চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে জাতীয় রাজনীতি ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভুমিকা কি হতে পারে তা ন